৪৮তম ওভারে বল হাতে বোলিং মার্কে আসেন উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৮ বলে ২৭ রান। স্ট্রাইকে সাব্বির। ১ রান নিয়ে মুশফিককে স্ট্রাইক দিলেন সাব্বির। পরের ৪ বলে দুটি চারের মার ও দুটি ডবল নিয়ে ১২ রান তুলেন মুশফিক।
৪৯তম ওভারে সমীকরণটা দাঁড়ায় ১২ বলে ১৪ রান। কিন্তু বাংলাদেশ এই ওভারে তুলে ৬ রান। ওভারের শেষ বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাজঘরে ফিরেন সাব্বির। শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ৬ বলে ৮ রান। বোলিংয়ে ফের হোল্ডার। হোল্ডারের প্রথম বলটাই মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তালুবন্দি হলেন মুশফিক। সেই সঙ্গে ম্যাচটাও হাত ছাড়া হয়ে গেল বাংলাদেশের। পরের পাঁচ বলের মধ্যে প্রথম দুইটি বল ডট দিয়েছেন মোসাদ্দেক। চতুর্থ বলে ২ রান আর পঞ্চম বলে ১ রান। শেষ বলে মাশরাফি নিয়েছেন ১ রান। ফলে ৩ রানের হেরেছে বাংলাদেশ। আর এ জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর বাংলাদেশ পুুড়ল আরেকটি শেষ ওভারের হারের বেদনায়।
এর আগে প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে এদিন আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ২৭২ রানের টার্গেট দেয় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভাল সূচনা এনে দেন বিজয় ও তামিম। ৯ বলে ২ ছক্কা ও দুটি চারের মারে ২৩ রান করেন বিজয়। এরপর তামিম ও সাকিবের জুটিতে ধীর গতিতে এগুতে থাকে বাংলাদেশ। দলীয় ১২৯ রানে ৮৫ বলে ৫৪ রান করে আউট হন। ১৬ রানে ব্যবধানে আউট হন সাকিবও। সাকিব করেন ৭২ বলে ৫৬ রান।
এরপর মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ দলের হাল ধরেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৮৭ রান। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে মাহমুদুল্লাহ রান আউট হলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু মুশফিকুর রহিম অনেকটাই টেনে তুলেন বাংলাদেশকে। ১ ছক্কা ও ৫টি চারের মারে ৬৭ বলে ৬৮ রান করেন মুশফিক কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সাব্বির-মোসাদ্দেকরা আজও জ্বলে উঠতে পারেননি। ফলে ৩ রানের হারের আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে টাইগারদের। আর এ জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে ক্যারিবীয়রা।
তবে এদিন ম্যাচের শুরুতে বল হাতে দুর্দান্ত সাফল্য পায় টাইগারা। এভিন লুইসকে ব্যক্তিগত ১২ রানে এলবিডব্লিউ করে বিদায় জানান মাশরাফি। ১৮ বলে ১টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে আউট হন তিনি। এরপর দলীয় ৫৫ রানে ক্রিস গেইলকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। ৩৮ বলে ৩টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ২৯ রানে বিদায় নেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।
বল হাতে জ্বলে ওঠেন সাকিবও। ৪৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৫ রান করা শাই হোপকে আউট করেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। দলীয় ৭৭ রানে সাব্বির রহমানের তালুবন্দী হন হোপ। এরপর রুবেলের বলে ব্যক্তিগত ১২ রানে মুশফিকের তালুবন্দী হয়ে মাঠ ছড়েন জেসন মোহাম্মদ। রোভম্যান পাওয়েলকেও ৪৪ রানে বোল্ড করেন টাইগার পেসার রুবেল। ৭ রানে জেসন হোল্ডারকে সাকিবের বলে স্ট্যাম্পিং করেন মুশফিক। দলীয় ২৩৬ রানে অ্যাশলে নার্সকে বিদায় জানান মোস্তাফিজ। এরপর ব্যক্তিগত ৪ রানে কিমো পলকে রুবেলের বলে তালুবন্দী করেন মুশফিক। দলীয় ২৪২ রানে দেবেন্দ্র বিশুকে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। অবশেষে ৪৯.৩ বলে দলীয় ২৭১ রানে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন হ্যাটমায়ার।
এর আগে, ব্যাট হাতে একাই লড়তে থাকেন হ্যাটমায়ার। ৮৪ বলে ১০০ রান তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ১২৫ রানে থামে তার ইনিংস। যার মধ্যে ছিল ৩টি বাউন্ডারি আর ৭টি ওভার বাউন্ডারি।